মাযহাব মানার বিধান!
মাযহাব অর্থ চলার পথ। মাযহাব বলতে কুরআন-সুন্নাহর অস্পষ্ট ও জটিল বিষয়াদিতে নেককার মুজতাহিদগণের (কুরআন-সুন্নাহর গভীর জ্ঞানের অধিকারী উলামায়ে কেরামের) নিজস্ব গবেষণালব্ধ ফাতওয়া সংকলন ও সে আলোকে শরী'আত পালন করার পথকে বোঝায়। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
উপরোক্ত আয়াতে কারিমায় 'উলুল আমর' বলতে ফকীহগণকে বোঝানো হয়েছে।
(তাবারী, মুহাম্মদ ইবনে জারীর ইবনে ইয়াজিদ (৩১০ হি.), জামিউল বায়ান ফী তাবীলিল কুরআন, (মুয়াস্সাসাতুর রিসালা, প্রথম প্রকাশ-১৪২০ হি.), খ-৫, পৃ-৮৮)
অন্য আয়াতে রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
•فاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُون
যদি তোমরা না জানো, তবে যারা জানে তাদের জিজ্ঞেস করো। (সূরা নাহল-৪৩)
উক্ত আয়াতে সমগ্র মানবমণ্ডলীকে আল্লাহ তা'আলা একটি মৌলিক নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কেউ কোনো বিষয়ে অজ্ঞ কিংবা অনভিজ্ঞ হলে তার জন্য উচিৎ হবে অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞজনের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে নেয়া এবং সে অনুযায়ী আমল করা। তাই কুরআন-সুন্নাহর অস্পষ্ট ও জটিল বিষয়ে নিজের ইলম, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতার উপর নির্ভর না করে মাযহাবের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সর্বশ্রেষ্ঠ আলেমগণের কোনো একজনের মত মেনে নেয়াই হলো মাযহাবানুসরণ। যিনি জানেন না তিনি, যিনি জানেন তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবেন- এটাইতো নিয়ম।
তাই দেখতে পাই, মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরেও সাহাবায়ে কিরামের একটি বড় অংশ বিজ্ঞ ফকিহ্, মুজতাহিদ সাহাবিগণের ফাওয়া দলিল চাওয়া ব্যতিরেকে মেনে নিয়ে আমল করেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ