রমজানের আমল
রমজানে যে সকল আমল অধিক পরিমাণে করবেন
(দান-সদকা)
দান-সদকা সর্বাবস্থায় উত্তম আমল। কিন্তু রমযানে তার গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়।
হাদীসে এসেছে:
كان رسول الله صلى الله عليه و سلم أجود الناس وكان أجود ما يكون في رمضان حين يلقاه جبريل وكان يلقاه في كل ليلة من رمضان فيدارسه القرآن فلرسول الله صلى الله عليه و سلم أجود بالخير من الريح المرسلة
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন শ্রেষ্ঠ দানশীল। রমযানে যখন তার সাথে জিবরীলের সাক্ষাত হতো তখন তাঁর দানের হাত আরো বেশী প্রসারিত হত। জিবরীল (আ.) রমযানের প্রতি রাতে আল্লাহর রাসূলের সাথে সাক্ষাত করতেন এবং একে অপরকে কুরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। (রমযানে) আল্লাহর রাসূল হতেন কল্যাণবাহী প্রবহমান বাতাসের চেয়েও অধিক দানশীল।
(সহীহ বুখারী, হাদীস: ১৯০২, সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৬১৪৯)
তাই অধিক পরিমাণ দান করা এ মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল।
( কুরআন তেলাওয়াত করা )
রমযান কুরআন নাযিলের মাস। তাই এ মাসে কুরআন তেলাওয়াত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। অন্তত একবার যাতে কুরআন খতম হয়, সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখা উচিত।
( নফল ইবাদত )
অধিক পরিমাণে যিকির করা। উঠতে-বসতে কালিমায়ে তাইয়্যিবা, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার পাঠ করা। দরুদ শরীফও বেশী করে পাঠ করা যায়। নফল নামায পড়া। ইশরাক, চাশত, আওয়াবিন, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি নামাযগুলো বেশী করে পড়া।
(দুআ করা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা)
হাদীসে এসেছে,
রোযাদারের দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয়না।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৮৯৯৫)
তাই এ মাসে অধিক পরিমাণে দুআ ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য ও বিশ্ববাসীর জন্য।
বরকতময় হোক রমযান, আমাদের জন্য ও বিশ্ববাসীর জন্য। আমীন।
0 মন্তব্যসমূহ